@@বিপদে ধৈর্যধারণ জ্ঞানীর পরিচয়@@



 
এক চাইনিজ যোদ্ধা তার স্ত্রীকে নিয়ে বাসা থেকে বেশ দূরের একটা লেকে ঘুরতে গিয়েছিল। দুজন মিলে প্যাডেল বোটে করে মনের সুখে লেকের স্বচ্ছ জলের সৌন্দর্য অবগাহন করছে। ওরা প্যাডেল বোটে করে মাঝ লেকের দিকে অবস্থান করছে, এমন সময় হঠাৎ করে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়ঙ্কর ঝড় সৃষ্টি হল। স্বামী টি সাহসী ছিল, কিন্তু স্ত্রী ভয় পাচ্ছিল কারণ ঝড়ের তীব্রতা এত বেশি যে ওদের ছোট প্যাডেল বোট যেকোন মূহুর্তে ডুবে যাবে।

স্বামীটি খুব শান্ত ভাবে মাথা ঠান্ডা করে বসে রইলো, যেন কিছুই ঘটছে না। স্ত্রী অবাক হয়ে স্বামী কে প্রশ্ন করলো, তোমার কি ভয় লাগছে না? আমরা যেকোনো সময় মারা পড়তে পারি। এটাই আমাদের শেষ মূহুর্ত হতে পারে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমরা আর কখনোই তীরে ফিরতে পারবনা। যদি অলৌকিক কিছু না ঘটে তাহলে আজ আমাদের বাচার কোনো রাস্তা নেই।

স্বামীটি স্মিত হেসে উত্তর দিল যে তার ভয় লাগছে না। স্ত্রী টি এবার রেগে গিয়ে স্বামীর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিল-তোমার ভয় লাগছে না! তুমি কি পাগল? তুমি পাথর নাকি অন্য কিছু? স্বামী টি হেসে উঠল এবং খাপ থেকে তলোয়ার বের করে স্ত্রীর গলার দিকে এমনভাবে তাক করল যে স্ত্রীর গলা থেকে তলোয়ারের ডগার দূরত্ব বড়জোর এক ইঞ্চি হবে।

স্বামীর কাণ্ড দেখে স্ত্রী হতবুদ্ধি হয়ে গেল। তুমি কি ভয় পাচ্ছ? স্বামী এবার স্ত্রীর প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিল। এবার স্ত্রী হেসে ফেলল। আমি কেন ভয় পাব! তুমি আমার স্বামী। তলোয়ার যদি তোমার হাতে থাকে, আমার ভয় পাবার কিছুই নেই। কারণ আমি জানি তুমি আমাকে কত ভালবাসো!

স্বামী এবার তলোয়ার খাপে ভরে স্ত্রীকে বলল, এটাই আমার উত্তর।

এ কারণেই আমি শান্ত আছি। কারণ আমি জানি সৃষ্টিকর্তা আমাকে ভালবাসেন, এবং এই ঝড় তার হাতেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তাই আমার ভয় পাবার কিছুই নেই।

#গল্পের_শিক্ষাঃ
আমাদের জীবনেও ঝড় আসে। খারাপ সময় আসে। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়ে আমরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। কি করা উচিৎ ভেবে না পেয়ে আমরা দিশেহারা হয়ে যাই। কিন্তু আমাদের মাথাতে তখন এটা কাজ করেনা, যে সৃষ্টিকর্তা কত ভালবেসে আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন। জীবনে বেচে থাকার জন্য অক্সিজেন, পানি, খাদ্য সহ কত অসংখ্য নিয়ামত দিয়েছেন। আমাদের জীবনে যে খারাপ সময় আসে, যে ঝড় আসে তা সৃষ্টিকর্তা-ই নিয়ন্ত্রণ করেন। যদি আমরা সে ঝড় থেকে বেচে উঠতে পারি ভাল, না পারলেও ভাল। কারণ সবকিছু তার হাতেই।
 
 

No comments

Theme images by sololos. Powered by Blogger.